Posts

হাদীসের আলোকে শবে বরাত [ফযীলত, করণীয় ও বর্জনীয়]

Image
প্রশ্নঃ আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হাদীসের আলোকে শবে বরাত ফযীলত, করণীয় ও বর্জনীয় উত্তরঃ و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته بسم الله الرحمن الرحيم হাদীসের আলোকে শবে বরাত [ফযীলত, করণীয় ও বর্জনীয়] -‘শবে বরাত' নামটির শাব্দিক বিশ্লেষণ’- শবে বরাত নামটি একটি ফার্সি ও একটি আরবি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। 'শব' শব্দটি ফার্সি, অর্থ রাত আর 'বরাআত' শব্দটি আরবি, অর্থ মুক্তি। দুটি মিলে অর্থ হয় "মুক্তির রাত"। যেহেতু এ রাতে অগণিত মানুষের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং বহু জাহান্নামিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়, তাই এ রাতটি শবে বরাত' বা মুক্তির রাত নামে পরিচিত। হাদীস শরীফে এ রাতটি 'লাইলাতুন নিসফ মিন শাবান' (অর্ধ শাবানের রাত তথা ১৪ শাবান দিবাগত রাত) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। -‘শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কয়েকটি হাদীস’- ১ম হাদীস عن معاذِ بنِ جبلٍ ٬ عنِ النَّبيِّ صلّى اللَّهُ عليهِ وسلَّمَ ٬ قالَ : يطَّلِعُ اللهُ إلى خَلقِه في ليلةِ النِّصفِ مِن شعبانَ فيغفِرُ لجميعِ خَلْقِه إلّا لِمُشركٍ أو مُشاحِنٍ অর্থ : হযরত মু'আজ...

২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

Image
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হয়। ১৯৫২ সালের এই বিশেষ দিনটি তে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি রেখেছিল আন্দোলনরত ছাত্রদল; ফলস্বরূপ; তাদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন বেশ কয়েকটি তরুণ তরতাজা প্রাণ। ভাষা আন্দোলনের সেই অমর শহিদদের স্মরণে পালিত হয় আজকের দিনটি। এই দিনটি মূলত একটি উদ্দেশ্যে পালিত হয়, বিভিন্ন ভাষাগুলির সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন ভাষার সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন করা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল ইউনেস্কোর ঘোষণার মাধ্যমে পালিত হয় এবং এর উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন ভাষার সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন ভাষার সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন করা। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এর উদ্দেশ্যে শহীদ মিনারে ফুল জ্ঞাপন করার মাধ্যমে শুরু হয় এবং সারাদিন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয় এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির শক্তি ও গর্বের প্রতীক। ভাষা দিবসের এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিতে সেই বীর শহীদদের স্মরণ করি গভীর শ্রদ্ধার সাথে ; যারা আজ নেই কি...

প্রবৃত্তি ধ্বংসাত্মক বিষয় সমূহের একটিঃ পর্০১

Image
মানুষের সবচেয়ে বড় দুশমন হল শয়তান, যে মানুষকে খারাপ পথের দিকে ডাকে। আর মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু হল, তার জ্ঞান যা তাকে ভালো উপদেশ দেয়। আর মানুষের অপর বন্ধু হল, ফেরেশতা যে তাকে ভালো কাজের দিকে উদ্বুদ্ধ করে। যখন কোন ব্যক্তি তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তখন সে তার আত্মাকে নিজ হাতে দুশমনের কাছে সোপর্দ করে এবং নিজেকে শয়তানের বেড়াজালে আবদ্ধ করে। যখন কোন ব্যক্তি শয়তানের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়, তখন তার পরিণতি হয় খুবই করুণ। আর একেই বলা হয়, মহা বিপদ ও করুণ পরিণতি, যার থেকে রাসূল সা. আল্লাহর দরবারে মুক্তি কামনা করেন। এছাড়া একে খারাপ ফায়সালা ও দুশমনদের খুশি করাও বলা হয়ে থাকে। এ দুটি থেকেও রাসূল সা. আল্লাহর দরবারে মুক্তি চান। আগেকার যুগে বলা হত, যখন তোমার উপর তোমার জ্ঞান প্রাধান্য বিস্তার করে, তখন তা তোমার উপকারে লাগে। আর যখন তোমার উপর তোমার প্রবৃত্তি প্রাধান্য বিস্তার করবে, তখন তা তোমার দুশমনের কাজে লাগবে। প্রবৃত্তির অনুসরণ দ্বীনের মধ্যে বিকৃতির কারণ: যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তারা দ্বীনের মধ্যে বিকৃতি করতে কোন প্রকার কুন্ঠাবোধ করে না। তারা দ্বীনকে তাদের প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী সাজায়। তাদের কাছে যদি সঠি...

কথাকম বলা মানুষ মিটমিটি শয়তান !

Image
  "আমাদের বর্তমান সমাজে মানুষে বলে যে কথাকম বললে মিটমিটি শয়তান! আর আমাদের এই সমাজে কথা ক ম বলা লোককে একদম খারাপ নজরে দেখা হয়, তারা জানেনা সেটা সুন্নাহর সঙ্গে বেয়াদবী করা হচ্ছে। আমাদের দেখা একটি বাস্তবতা হচ্ছে, যখন কেউ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বেশি বেশি কথা বলে, তখন সে যে কেবল অনর্থক কথাই বলে বেড়ায় এমন নয়। বরং সে জড়িয়ে পড়ে অনেক ধরনের অন্যায়-অপরাধের সঙ্গেও। যারা বেশি কথা বলে তারা মানুষের গিবত-পরনিন্দায় লিপ্ত হয় বেশি। অবচেতনভাবেই হয়তো তারা অনেকের গিবত করতে থাকে এবং এ গিবত-পরনিন্দার কারণে অনেক সময় কারো সম্মানহানি হয়। কখনও আবার দুই ব্যক্তির মাঝে সম্পর্ক নষ্টও হয়। এ কাজটি সামাজিকভাবে চরম নিন্দিত ও শরিয়তের দৃষ্টিতে এক জঘন্য অন্যায়। কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন একে অন্যের গিবত না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?’ –সূরা হুজুরাত: ১২ যারা বেশি কথা বলে, কখনও মিথ্যা-অশ্লীলতার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ে তারা। অনেক ক্ষেত্রেই অসংলগ্ন ও অসতর্ক কথায় তারা লিপ্ত হয়। ফলে ঝগড়া-বিবাদও সৃষ্টি হয় কখনও কখনও। পরিণতিতে বিঘ্নিত হয় সামাজিক শান্তি-শৃংখলা ও সম্প্রীতি। কিন্...

নামাজ আদায়ে অলসতা দূর করার উপায়

Image
কালিমায় বিশ্বাস তথা ঈমানের পর নামাজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। নামাজ পরিত্যাগ করা কুফুরি পর্যায়ের গোনাহ। এ বিষয়ে কোরআন-হাদিসে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও তাগিদ এসেছে, যা অন্যকোনো বিষয়ে আসেনি। নামাজের এত গুরুত্ব হলেও বাস্তবতা হলো- একমাত্র আল্লাহভীরুদের জন্য ছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা খুব কঠিন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘ধৈর্য্যের সঙ্গে সাহায্য প্রার্থনা করো নামাজের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু আল্লাহভীরু লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। -সূরা বাকারা: ৪৫ নামাজে অবহেলার পরিণতি: নামাজে অলসতা ও অবহেলার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘ওই সব নামাজিদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি যারা নামাজ থেকে উদাসীন।’ -সূরা মাঊন: ৪-৫ এ আয়াতের তাফসিরে সাহাবি হজরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, তারা কারা যাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি? তিনি বললেন, ‘যারা নামাজের নির্দিষ্ট সময় পার করে দিয়ে নামাজ আদায় করে।’ মুনাফেকের বৈশিষ্ট্য: নামাযে অলসতা করা মুনাফেকের বৈশিষ্ট্য। ইরশাদ হচ্ছে,...

নামাজি পাঁচ প্রকার

Image
কুরআন-হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, ৫ ওয়াক্ত সালাত ফরয, যথাসময়ে আদায় করা মুমিনের সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ দায়িত্ব। ঈমান আনার পর ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয়টিই হচ্ছে সালাত। একজন মুসলিম কিছুতেই সালাতকে এড়িয়ে যেতে পারে না। সালাতই মুমিনের পরিচয় এবং ঈমান ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য। সালাত পরিত্যাগকারী ‘কাফিরদের দলভুক্ত’ বলে গণ্য হবে। সালাত মুসলিম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যতক্ষণ হুশ বা চেতনা থাকবে সালাত আদায় করতেই হবে। দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, দৌঁড়িয়ে, হেঁটে, ইশারায় বা যেভাবে সম্ভব সালাত আদায় করতে হবে। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের ওপর ফরজ। (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০৩) ইসলামের পরিভাষায় ফরজ মানেই হচ্ছে অবশ্যকরণীয়। যা না করে কোনো উপায় নেই। সালাত এমন একটি ইবাদত, যেখানে বান্দা ও তার প্রভুর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টি হয়। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে অন্তত ৮২ স্থানে সালাতের কথা বলা হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর জীবনের শেষ আদেশও ছিল এই সালাত। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম সালাতেরই হিসাব গ্রহণ করা হবে। এভাবে অগণিত সহীহ হাদীস থেকে আমার ফরয সালাতের গুরুত্ব ও সালাতে অবহেলার ভয়াবহ প...